প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ. প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষার ফল জুলাই মাসের ১ম সপ্তাহে. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।
জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এ ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানায়, সম্প্রতি শেষ হওয়া সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৪, লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এ ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড ভাবে লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হয়েছে। নির্ভুলভাবে খাতা মূল্যায়ন হওয়ায় কাউকে নম্বর কম বেশি করে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই পরীক্ষায় পাস করে দেয়ার লোভ দেখিয়ে প্রার্থীরা কারো সঙ্গে কোনো লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মহাপরিচালক আরও বলেন, লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের দুই সপ্তাহের মধ্যে উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা হবে। কয়েকটি ভাগে পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শেষ করা হবে। পরবর্তী দুই মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য আসনে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৪ পরীক্ষার মাধ্যমে ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নেয়া হবে। তার বিপরীতে সারাদেশ থেকে প্রায় ৯ লাখ আবেদন জমা পড়ে। মামলা জনিত কারণে বিগত চার বছর নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে। চলতি বছরের মার্চে আবারও এ কার্যক্রম শুরু হয়।
গত ২০ এপ্রিল প্রথম ধাপের শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। সেখানে প্রায় দুই লাখ প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা গত ১১ মে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় তিন লাখ প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। তৃতীয় ধাপের ২৬ মে প্রায় দুই লাখ এবং শেষ ধাপে ১ জুন প্রায় দুই লাখ প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ
মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, দ্রুত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট দূরীকরণ করা হবে। এ লক্ষ্যে চলমান নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরেই নতুন করে আরও ১০ থেকে ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। স্থগিত হওয়া সহকারী শিক্ষক ২০১০ সালের এই নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হলেও পরবর্তী নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ও যাবতীয় তথ্য www.dpe.gov.bd এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ
ভোটের বছরে চিকিৎসকদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগেও বিজ্ঞপ্তি আসছে। ১০ থেকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
এর পাশাপাশি চার বছর আগে মামলায় আটকে যাওয়া ১০ হাজার জনকে নিয়োগের প্রক্রিয়াও চলছে। ফলে সব মিলিয়ে চাকরি পাবে ২০ হাজারেরও বেশি।
সারাদেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৪ হাজার ৮২০টি। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই। ২০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। এসব পদ পূরণে রাজস্ব খাতে নতুন করে ১০ থেকে ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
চলতি বছরই সরকারি হাসপাতালে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ঘোষণা আছে সরকারের। আর এখনও ঘোষণা দেয়া না হলেও প্রাথমিকে নিয়োগের প্রাথমিক কাজগুলো শেষ করে আনছে সরকার।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে নতুন নীতিমালা করার যে আলোচনা চলছে, এবারের নিয়োগে সেটি প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ আগের নীতিমালার আলোকেই হবে এই নিয়োগ। অর্থাৎ ৬০ শতাংশ নারী কোটা এবং মেয়েদের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা এইচএসসি পাসই থাকছে।
গত ২২ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে ৩৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেয় সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় আগামী পাঁচ বছরে দেড় লাখের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা
প্রাইমারিতে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রমজান আলী বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বদ্ধপরিকর। এজন্য নতুন প্রকল্পের আওতায় ১০ থেকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেব।’
এক প্রশ্নের জবাবে রমজান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নীতিমালাটি এখনও চূড়ান্ত নয়। এটি জনপ্রশাসনে যাবে। সেখান থেকে সচিব কমিটিতে যাবে। এরপর চূড়ান্ত হবে। এতে কিছু সময়তো লাগবেই। কারণ এটা বড় সিদ্ধান্তের বিষয়। ফলে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ওইটা নাও পড়তে পারে।’ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ.
ডিপিই কর্মকর্তা বলেন, ‘২০১৪ সালের স্থগিত হওয়া ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমও চলছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষ করা হবে। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় রাজস্ব খাতে নতুন করে আরও ১০ থেকে ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা আরও শিক্ষক নিয়োগ দেব।’উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) অনুমোদন দেয় একনেক। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম ধাপের শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে জুলাই মাসে।